যশোরের মণিরামপুর পৌর এলাকার জয়নগর কসায়খানা পাশে লোকমান মিয়ার কলাবাগান থেকে মৃত হীরা বেগম (২৮) পিতা: আক্তার মোল্লা, মাতা শিউলি বেগম সাং- চাকলা পোস্ট পারখাজুরা, থানা মণিরামপুর, জেলা যশোর, স্থানীয় ঠিকানা-সাং -বাগডাংগা থানা নড়াইল সদর, জেলা- নড়াইল,এক নারীর ছুরি বা ধারালো অস্ত্র দ্বারা ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে দুর্বৃত্তরা ওই নারীকে উপর্যপুরি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে মেরে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় ইং- ৬-১০-২০২২ খ্রি রাত আনুমানিক ০৩.৫০ ঘটিকার সময় র্যাব- ৬ সিপিসি তিন যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিজানের দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ভিকটিম হীরা বেগমের হত্যাকারী যশোর সদর বেজপাড়া এলাকায় আত্মগোপনে আছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে উল্লেখিত স্থানে অভিযান চালিয়ে ঐইরাতেই আনুমানিক চারটা দশ মিনিটে ইসলাম গাজী (৩৬) পিতা মোঃ আনিসুর রহমান গাজী , সাং- চাকলা থানা মনিরামপুর, জেলা যশোর কে আটক করে। আটক কৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃত আসামী ইসলাম গাজী ভিকটিম হীরা বেগমের তৃতীয় স্বামী ও মশ্বিমনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার। গত কয়েকদিন পূর্বে তাদের ডিভোর্স হয়, ডিভোর্সের পর ভিকটিম হীরা বেগম আবারো আসামী ইসলাম গাজীকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে মণিরামপুর আসেন গত ইং ৫-১০-২০২২ তারিখ সময় রাত আনুমানিক ০৭-৩০ ঘটিকার সময় দুইজনের সম্মতিতে মোটরসাইকেল যোগে ভিকটিমের বাবার বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে পারিবারিক দ্বন্দের কারণে উপরে উল্লেখিত স্থানে চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এঘটনার গততিন দিন আগে, আটক কৃত ইসলাম গাজী ও হীরা বেগম (০৯) বছর বয়সী পুত্র সন্তান আবু তালেব কে জুসের সাথে ঘুমের ঔষুধ জোর করে খাইয়ে দেই, শিশুআবু তালেব (০৯)অজ্ঞান হয়ে পড়লে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পালিয়ে যায়, সারারাত হসপিটালের রুগীরা ও কর্মরত ডাক্তার, নাসরা মিলে শিশু আবু তালেব (০৯)কে সেবা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা চালায়। অতঃপর তার সৎ বাবা ইসলাম গাজী, ও নিজ বাবা সুমন হোসেন হসপিটালে উপস্থিত হয়।সাধারণ জণগণ খিপ্ত হয় মেম্বার ইসলাম গাজীর উপর, অতঃপর শিশুটির চিকিৎসার স্বার্থে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে হসপিটাল সুত্রে জানাযায়। এবং তাদের দুজনের ভেতরে সাংসারিক দ্বন্দ্বের কারনে খুন হতে পারে এমনটাই পুলিশ ধারনা করেছেন।
আসামি ইসলাম গাজী আইনের আওতায় আছে, নিহত হীরা বেগমের মরদহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে মণিরামপুর থানা পুলিশ। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় মণিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।